কুয়াশার অন্ধকার এখনও কাটেনি স্বপ্ন ফেরি করছে যে সওদাগর, তার পিপাসা মেটেনি বলে হুংকার করছে মিথ্যার চোখে চোখ রেখে; ফাগুনকে আগুন বলে জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে অহরহ। তুমি কি হার মানবে মাঝি? উজানের বিরুদ্ধে চলার সাহস হারালে তুমি যে বন্ধ্যা হয়ে যাবে বন্ধু! এসো, আগুনের রঙকে নাচিয়ে দাও, ভাসিয়ে দাও রক্তের ভাঁজে ভাঁজে জেগে থাকা বারুদের চেতনাকে। তোমার স্বপ্নের জগৎ থেকে কুয়াশা কেটে বেরিয়ে আসুক নতুন সূর্য। ----xx--- ২ :২৭ এ এম ০৩/০৩/২০১৯
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ ছিল পাখিটার! কেন নিজভূমে হল পরবাসী? সে তো মধ্য-সাগরের স্রোতকে কব্জা করেনি, চায়ওনি কখনো ভেঙে দেয়নি কারও স্বপ্ন, ডিঙা ভাসানোর অধিকার।