আলী হোসেনের প্রেমের কবিতা : আধখোলা জানালায় যখন মোমের আলোয় ভিজে দাঁড়াতে আধখোলা জানালায়, তখন ছায়া পড়তো বুকের ভেতর একদলা ভালোলাগার। জেগে উঠতো আমার ভেতরের মজনুটা, চাঁদের দুরত্ব ভেঙে পৌছতাম তোমার স্বপ্নের সীমানায়, একবার ছুঁয়ে যেতে আধখোলা জানালায়। আকাশের ছাঁয়া খোঁজার নেশা নিয়ে যখন ক্লান্ত রাতের চোখবুঁজে যেত, তখনও আমি টেনে রাখতাম চোখের পাতা তোমাকে দেখব বলে; গভীর রাতের আধখোলা জানালায়। রামধনুর রঙ-মাখা চোখে ভোরের বাতাস মেখে ঝাঁটা হাতে দাঁড়াতে যখন উঠোনের কোনে, তোমার কপালের টিপে ভেসে উঠতো সকালের সূর্য, পটে আকাঁ ছবির মত। আমি দাঁতোনের ডাল মুখে কলপাড়ে দাঁড়াতাম নরম সূর্যের উষ্ণতা নেব বলে; তুমি আধখোলা জানালায় ভেবে। তোমার চিকন ঠোঁটের একদানা তিল রাতের গভীরতায় কালপুরুষের বুক ছুঁয়ে যেত আমার চোখ আঁটকাত আকাশের কালোয়। আমি কালপুরুষের মত দাঁড়াতাম সন্ধ্যা-রাতের আধখোলা জানালায়। যখন বুকের ভিতর শীতের কাঁপুনিতে তোমার উষ্ণতা হারানোর ভয়ে নুরমহলে নৈবেদ্য সাজিয়েছে প্রকৃতি তোমার দুধে-আলতা শরীরের দূতীতে আমি পুরোহিত হতে দাঁড়িয়েছি মণ্ডপের আধখোলা জানালায়। তুমি তখন নবোদ্ভিন্ন স্তনের নিটোল টানে নতুন কদমফুল। আর আমি আনকোরা ...
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...