সেদিন সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। আকাশের তারা খসার মত আমার আত্মা খসে খসে পড়ছিল রুক্ষ আর শুষ্ক রহমতের বুকে সারা দেশের ড্রইং রুম কেঁপে উঠেছিল বর্বরতার যন্ত্রনায় চোদ্দ থেকে চল্লিশ ইঞ্চির বোকা বাক্সে চোখ রেখে আমার মত সারাদেশ শোকে মাতন করেছে শ্বাস-কাটা মুরগির মত। আমিও দেখেছি সেই কালো সময়ের দুর্গন্ধ মাখা জীবন্ত লাশের অসহায় পিলখানার গোঙানি, অনুভব করেছি হৃদকম্প কিন্তু আজ স্নায়ুতে কম্পন নেই,বিবেকের পিতা শুড়িখানায় শুয়ে আছে নিশ্চিন্তে। দরং এর দরজায় কেঁপে কেঁপে উঠছে ছোট ছোট জোনাকির মত রহমতের মিনিরা চোখ বুঁজে আমার আত্মা নাচছে, তান্ডব করছে বরাকের বাঁকে রহমতের বুকে। তবু ড্রইং রুম শ্মশানের নিস্তব্ধতায় ঝিমোচ্ছে... কেন? ভেবে দেখলাম আমার বিবেক বন্ধক পড়ে গেছে কর্পোরেটের আঁধার কুলুঙ্গিতে,যেখানে আলোর প্রবেশ নিষেধ।
কবি আলী হোসেন : তুমি আসবে বলে তুমি চোখ খোলো দেখো আঁধার রয়েছে আলোর মধ্যে এ আলো তোমার জন্য নয় নিষ্পাপ রোদের মধ্যে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি কতকাল! তুমি বলেছিলে, সেখানেই আসবে তুমি শৈশবের বসন্ত গেল। তুমি ছিলেনা একমুঠো যবের আটায় তোমার মুখ এঁকেছি প্রতিদিন কথা দিয়েছিলে নতুন সূর্যের ফসল হয়ে আসবে। থাকবে আমার বামপাঁজরের নিচে দিনান্তে, তুমি এলে না কৈশোরের চঞ্চলতায় তোমাকে এঁকে নিয়েছি খাতায় কচুপাতায় জমা শিশিরের স্ফটিক ছবিতে দাঁড়িয়ে থেকেছি নিষ্পলক হলুদ বারান্দায় তুমি আসবে বলেছিলে তাই। তবুও তুমি এলেনা। কৈশোর চলে গেল ভুলে, গেল ভোরের বাতাস। সময়ের মত দূপুরের তাতে ঘেমেছি,পুড়েছি সেও অনেককাল হল তবু তুমি এলেনা তুমি কি এখনও বন্দি বাস্তিলের দুর্ভেদ্য কুঠরিতে পলাশীর মাঠ হয়ে রাইটার্সের বারান্দায় স্বপ্ন দেখেছি, লাল সালুকে ভেসে আসবে আমার ছোট্ট কু...