কাশের বনে বইছে হাওয়া গাইছে পাখি গান বলছে তোমায় ভালোবাসি মন করে আনচান তোমার বুকের একটি কোনে ঠাই রেখে দিও সংগোপনে সেখানেতেই বাঁধবো বাসা আমরা দুটি প্রাণ ভোরের পাখি বলছে ভেবে তোমায় ছেড়ে আছি ভাবছো না-কি তোমায় ছাড়া কেমন করে বাঁচি তোমার বুকের মাঝখানেতে বন রেখে দিও সাবধানেতে সেখানেতেই থাকবো দুজন মিলবো দুটি প্রাণ কাশ বলে শোন ওরে পাখি তোর জন্যই আছি ভোরের বাতাস বুকে মেখে অপেক্ষাতেই আছি বন রেখেছি বুকের মাঝেই সাজিয়ে তাকে সকাল সাঝেই একমুঠো রঙ পেলেই আমি রাঙিয়ে দেব প্রাণ আমার জন্য উৎস : ড্রাইভ
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ ছিল পাখিটার! কেন নিজভূমে হল পরবাসী? সে তো মধ্য-সাগরের স্রোতকে কব্জা করেনি, চায়ওনি কখনো ভেঙে দেয়নি কারও স্বপ্ন, ডিঙা ভাসানোর অধিকার।