সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

About

আলী হোসেন : কবি পরিচিতি

    নাম ও জন্মস্থান

    • নাম : আলী হোসেন
    • জন্মস্থান : গ্রাম– চড়ুইগাছি, 
    • পোষ্ট– ধর্ম্পুর, 
    • থানা– গাইঘাটা, 
    • জেলা- উত্তর ২৪ পরগানা, 
    • পশ্চিমবঙ্গ। ভারত
    • জন্ম তারিখ : ২৮.১২.১৯৬৭

    বর্তমান ঠিকানা : 

    সম্প্রীতি অ্যাপার্টমেন্ট, চতুর্থ তল, ফ্লাট নং - ৯, 
    ২০০২ ব্রহ্মপুর, বাদামতলা, বাঁশদ্রোণী, কোলকাতা - ৭০০০৯৬।
    ইমেল ঃ banglasahityaali@gmail.com

    পড়াশুনা ও অন্যান্য যোগ্যতা

    • প্রাথমিক শিক্ষা : চড়ুইগাছি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়
    • মাধ্যমিক শিক্ষা : কলাসীমা স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ 
    • উচ্চমাধ্যমিক : গাইঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় 
    • উচ্চশিক্ষা :  ইতিহাসে অনার্স ( শ্রী চৈতন্য কলেজ - হাবড়া, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়  ) , ইতিহাসে এম.এ. ( রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা ),
    •  বিএড ( গান্ধি সেন্টিনারী বিএড কলেজ - হাবড়া, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় )। 
    • পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ এর আজীবন সদস্য।
    • কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও নেটওয়ার্ক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, (পশ্চিমবঙ্গ যুব-কল্যাণ দপ্তর)
    • ওয়েভসাইট ডিজাইনার, (স্বশিক্ষা)
    • অনলাইন সফটওয়ার ডেভেলপার। (স্বশিক্ষা)

    পেশা ও নেশা

    লেখালেখির বিষয়

    ছোটোগল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ইত্যাদি

    যে সব পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন / লিখতেন :

    দৈনিক পত্রিকা : 

    আজবিকাশ, দিনদর্পন, গণশক্তি ইত্যাদি...

    মাসিক পত্রিকা : 

    ভাষবন্ধন, তথ্যকেন্দ্র, আরম্ভ, অনাহত, কবিতা পাক্ষিক, মাসান্তিক গতি, সৃষ্টিকোন, তিলোত্তমা, অন্যশাব্দিক, 

    ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকা :

    দিবারাত্রির কাব্য, লালন, তবু বাংলার মুখ, বিজ্ঞান মেলা, বোধন, উত্তর ২৪ পরগনা বার্তা, সংবেদন সহ বহু ছোটো-বড় পত্রিকায়। 

    এছাড়া বাংলাদেশের ছড়া পত্রিকা (চট্টোগ্রাম), ডানপিটে, কানাকড়ি, পাপড় প্রভৃতি ছোটদের পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকি।

    প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য লেখা :

    ছোটগল্প : 

    আলী হোসেনের উল্লেখযোগ্য কিছু ছোটগল্প যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। নির্জনে নীল (তথ্যকেন্দ্র), ঘোর, খোঁজ (ভাষাবন্ধন), নূরের জ্যোতি (নতুন গতি, রমজান সংখ্যা), ভোরের বার্তা, দিন বদলের কথা (অনাহত), কারিগর, মেল্ট ডাউন, টান (আজবিকাশ- দৈনিক)

    কবিতা : 

    আলী হোসেনের উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। হাঁস ভ্রমণ (কবিতা পাক্ষিক), আধখোলা জানালায় (তথ্যকেন্দ্র), দূরত্ব (মাসান্তিক), অধীশ (সৃষ্টিকোণ), নতুনের আকুতি (তিলোত্তমা), ভার্চুয়াল রোয়াকে (অন্যশাব্দিক), মহামানবের সাগরতীর (অনাহত), বেওয়ারিশ (আজবিকাশ), ঘূণ (অনাহত), তবু স্বপ্ন দেখি (সংবেদন), তাহেরার যন্ত্রণা (উত্তর ২৪ পরগনা বার্তা),

    ছড়া : 

    আলী হোসেনের উল্লেখযোগ্য কিছু ছড়া যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একুশ আমার (ছড়া পত্রিকা, বাংলাদেশ), চন্দ্রাভিযান, মশার জ্বালা (বিজ্ঞান মেলা), ঝন্টের ঝামেলা (বোধন), প্রশ্ন ফাস (লালন), আমার রক্ত মাটি করে (উত্তর ২৪ পরগনা বার্তা), ভাবা তাই ফালতু (বাংলা সাহিত্য, অনলাইন ম্যাগাজিন), পারের কড়ি (ডানপিটে, বাংলাদেশ), মাথার মড়ক, আরও চারটি ছড়াক্কা (ছড়াক্কা, দূর্গাপুর)

    প্রবন্ধ : 

    আলী হোসেনের উল্লেখযোগ্য কিছু প্রবন্ধ যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দুনিয়ার সংখ্যালঘু এক হও (তবু বাংলার মুখ); চেতনার জন্ম কিম্বা মৃত্যু; ভাগ্য : মুসলিম মনস্তত্ত্ব, ধর্মদর্শন ও প্রগতি; রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা ও তার বিবর্তন; গণতন্ত্রের মড়ক প্রভৃতি।

    গ্রন্থ সমালোচনা : জল-জমিনের পদাতিক: একটি দারিদ্র-লাঞ্ছিত রুগ্ন সমাজের বেড়ে ওঠার উপাখ্যান (দিবারাত্রির কাব্য), গ্রন্থের নাম : জল-জমিনের পদাতিক, লেখক : মুর্শিদ এ এম, প্রকাশক : মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রা: লি:
    সাক্ষাৎকার : আমার নেওয়া ছড়া বিষয়ে পবিত্র সরকারের সাক্ষাৎকার, যা সারা বাংলাদেশে ছড়াকারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

    প্রকাশিত গ্রন্থ :

    গল্প সংকলন :

    ছড়া গ্রন্থ : 

    কাব্যগ্রন্থ :

    প্রবন্ধ সংকলন :

    শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজ :

    ১) অনুচ্চারিত উচ্চারণ : 

    একজন লিখন-কর্মীর আলেখ্যাগার। এটা লেখকের লেখার অনলাইন সঙ্কলন। পড়তে চাইলে নিচের ওয়েভ এড্রেসে ক্লিক করুন।
    ওয়েভ এড্রেস : https://alissahitya.blogspot.com/

    ২) বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন

    'বাংলা সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন' লেখকের নিজস্ব সম্পাদনায় প্রকাশিত ম্যাগাজিন। ২০০৮ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। পড়তে চাইলে নিচের ওয়েভ লিঙ্কে ক্লিক করুন
    বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম পূর্নাঙ্গ অনলাইন ম্যাগাজিন এবং সর্বপ্রথম পডকাস্ট সম্প্রচারকারী ম্যাগাজিন।
    ওয়েভ এড্রেস : https://banglasahityaali.blogspot.com/

    ৩) ইতিহাস বই : 

    'ইতিহাস বই' স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম । নবম শ্রেণি , দশম শ্রেণি , একাদশ শ্রেণি, দ্বাদশ শ্রেণি এবং ইতিহাসের পাশ ও অনার্স গ্রাজুয়েট পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী বিনামুল্যে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করে্রেছেন।এখানে ইতিহাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও উত্তর করে দেওয়া ছাড়াও কোশ্চেন ব্যাঙ্ক ও মক টেস্ট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। 
    ওয়েভ এড্রেস : https://itihasboiwb.blogspot.com/

    ৪) গ্রামীণ বাংলা : 

    ঘটমান গ্রাম-বাংলার চলমান প্রতিচ্ছবি। গ্রামীণ জীবনকেন্দ্রিক বাংলার প্রথম ও একমাত্র নিউজ পোর্টাল
    ওয়েভ এড্রেস : https://grameenbanglanews.blogspot.com/

    অনলাইন সংকলন সূচী

    লেখা পড়ুন নিচের 👇লিঙ্কে ক্লিক করে।

    • অনুচ্চারিত উচ্চারণ ঃ ছড়া বিভাগ 👈 এখানে ক্লিক করুন



    মন্তব্যসমূহ

    📂 আলী হোসেনের জনপ্রিয় কবিতাগুলি পড়ুন

    শিকারি নয়, পাখিরাই সন্ত্রাসী হয়!

    শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী            আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে  তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়।            আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে  কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও।            যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল  বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো।             এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ ছিল পাখিটার! কেন নিজভূমে হল পরবাসী? সে তো মধ্য-সাগরের স্রোতকে কব্জা করেনি, চায়ওনি কখনো ভেঙে দেয়নি কারও স্বপ্ন, ডিঙা ভাসানোর অধিকার।

    মাড়িয়ে যাবো একদিন

    জেগে উঠবই একদিন আলী হোসেন মাড়িয়ে যাবো একদিন - আলী হোসেন  আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ‘মাড়িয়ে যাবো একদিন’। অশরীর নও, তবু খনা গলায় হাসছো? হাসো... অপেক্ষা করছি বিনিদ্র রজনী তোমার বারুদে বুক সেকে বরণ নয়, তোমাকে স্মরণ করবো বলে; পলকহীন জেগে থাকবো, দগ্ধ-দেহ-গন্ধ প্রিয় ও মুখ ফেরাউনের চেহারায় পাল্টে দেবো একদিন। লাশের উপত্যকায় বসে শান্তি খোঁজো? খোঁজো... অপেক্ষা করছি বুকের বাম পাশে ধক্ ধক্ শব্দ করে স্যালুট নয়, তোমাকে স্মরণ করবো বলে; জেগে থাকবো সহস্র এক রজনী তোমার বামপাশের  শব্দ ও তার মানে, পাল্টে দেবো একদিন। আমার পাঁজর ভেঙে শান্তি কিনছো? কেনো... অপেক্ষা করছি, যুগান্তরের পথে এক স্বপ্ন-পাঁজর নিয়ে,  জীবন নয়, তোমার কাফন কিনবো বলে; জেগে থাকব, লাল মুখো প্রেতাত্মা রূপে খোজা শান্তির মানে, পাল্টে দেবো একদিন কীভাবে অধিকার খোঁজো, কার জন্য? খোঁজো... আমার অধিকারের বুকে কবর খোঁড়ে যে শ্বাপদ, বলে দাও দেখা হবে ‘আট দশকের অভিশাপ’ হয়ে; শ্রম আর স্বপ্নের দখলদারের পারদ-পতনের শব্দে তোমার স্বপ্ন, মাড়িয়ে যাবো একদিন। ---------xx---------

    চোখ

    ইস্তাম্বুল ও ঢাকার জংগি হানার নিন্দা করে লেখা.......... এ কোন মানুষ দেখছি আমি এ কোন ধর্ম সই এ যে মানুষ মারার বিধানদাতা, মানুষ গড়ার কই? আল্লাহ নাকি সব-ই পারেন, ভগবানও সে'ই চুপ করে কেন সইছে তারা চোখ কি তাদের নেই রমজানের সিয়াম-সাধন বিধান দেবে যারা সংযমের নিয়েত করে মারবে মানুষ তারা? মানুষ মারার বিধান যদি ধর্মের বিধান হয় মানুষ হয়ে মানছি কেন কিসের এত ভয়? মানুষ কেবল করবে পালন ধর্মগুরুর বিধান! জল্লাদ হয়ে মানুষ মারার তারাই দেবে নিদান? এ কোন মানুষ দেখছি আমি এ কোন ধর্ম সই এ যে মানুষ মারার বিধানদাতা, মানুষ গড়ার কই? মানুষ পারে অমানুষদের পেখম  ছেটে দিতে ময়ূর সেজে নাচ্ছে যারা, শয়তানীদের মিতে বেহেশত কিম্বা স্বর্গে যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে যারা বলছে মারো মানুষ কবে চিনবো তারা কারা মিথ্যা পূজা মিথ্যা রোজা মিথ্যা প্রেমের গান মানুয যদি হেলায় হারায় ধর্মের নামে প্রাণ কী প্রয়োজন তোমার পূজো, তোমার নামে নমাজ তোমার সেবক রক্ষা পায়না বেকুব ব’নে সমাজ তোমার নামে ব্যাবসা করে, রাজ ক্ষমতার নেশায় ধর্মটাকে নামিয়ে নিয়ে বানিয়ে ফেলে পেশায় তাদের তুমি শাস্তি দেবেই থাকবো বসে তাই? মানুয গড়ার সেই কারিগর তোম

    কথা ভাঙার কথা

    আলী হোসেনের প্রেমের কবিতা :  কথা ভাঙার কথা আমার বুকের ভেতর তুমি শিরা উপশিরার মত বিছিয়ে রেখেছো নিজেকে পিছনেও তুমি, ঠিক শিকড়ের মত, যেদিকে তাকাই সেদিকেই আছো তুমি অনন্ত আকাশের মত খোলা বুক নিয়ে এ আশ্বাস তোমারই দেওয়া। তুমি বলেছিলে, আমার জন্য এক সোনালী সকাল এনে দেবে যেখানে থাকবে এক চিলতে চাঁদের মত স্বপ্নগুচ্ছ  একমুঠো নতুর আলোর ঝলকানি; আমার নিকষ-রাতের আকাশে তুমি থাকবে রাত পাহারার জোনাক হয়ে। এ আশ্বাস তোমারই দেওয়া। তুমি সেই আলোয় বানাবে স্বপ্নপুরীর জীয়নকাঠী পঙ্খীরাজে সওয়ার হবে অচিন গাঁয়ের রাজপুত্রের মত তুমি, আসবে স্বপ্নের কানাগলিতে  যেখানে ঝিমিয়ে আছে আমার অপুষ্ট স্বপ্নগুলো এ প্রতিশ্রুতি তোমারই দেওয়া। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, আলোর স্বপ্নে স্নাত হব আমি, হবে ভেতরের অন্ধকার। রাতের জোনাক হয়ে আসবে ঘরের কোণে বিজলি বাতির মতো। অন্ধকারের শৃঙ্খল ভেঙে  আমাকে মুক্তি দেবে ভরা জ্যোৎস্নার চাঁদের মত কোন এক নতুন ডেরায় এ শপথ তোমারই নেওয়া। আমি কথা রেখেছি। হাত রেখেছি তোমার হাতে.... সেও কয়েক দশক হয়ে গেল  কিন্তু এখনও বুঝিনি  বুকের কাছে জায়গা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিগুলো কীভাবে বদলে গেল শৃঙ্খলে! কথা ভাঙার কথায় কীভাবে হ

    আঁধারের মেওয়া

    আঁধারের মেওয়া আলী হোসেন আগুনের কি ক্ষমতা থাকে বারুদের আস্ফালন রুখে দেওয়ার? জল প্লাবনকে আটকাবে যদি, তার খিদের কী হবে? এতসব প্রশ্নের কোন মানে হয় না শুধু দেখে যাও আমরা মাথা উচু করে হাঁটছি প্লাবন ঠেলে, জগৎ সভায় ডিঙোচ্ছি এক একটা মাইল ফলক। হোক না তা বারুদ আর বর্বরতার সাঁকোয় চড়ে! বলছি, আগুনকে ভালোবাসো, হোক না তা নৃশংসতার, এই ভেবে, সে অন্ধকারের শত্রু সহ্য করো তাকে সম্ব্রমের বিনিময়ে হলেও এই ভেবে, একদিন সে ভালোবাসার দাগ রেখে যাবে, হোক না, সে দাগের নাম গুজরাট, কিম্বা মনিপুরি কোন অচিন গাঁ নগ্নতার কোন মিছিলেই তো হবে আমাদের রাজাধিরাজের নতুন অভিষেক। এটাই তো রীতি, এটাই তো রেওয়াজ আমাদের। সবুরে মেওয়া ফলে, নগ্নতার আর আঁধারের মেওয়া, সেটাই তো খেয়ে যাই আমরা তারিয়ে তারিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরবতায়, চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, ভেবে। -------xx------ 👉 ফেসবুকে পড়ুন এখানে ক্লিক করে 

    বাঁচতে হবে ভাইয়ের মত - আলী হোসেন

    বাঁচতে হবে ভাইয়ের মত আলী হোসেন  আসছো মাগো প্রতিবছর, থাকছো না-তো কাছে তোমার বুকের মাঝখানে কি, জায়গা কমতি আছে? তুমি নাকি বলো, বাছা মন যে আমার কাঁদে তবে কেন আসো তুমি এত্তো সময় বাদে? আসছো যখন তোমায় নিয়ে, করছে কাড়াকাড়ি তোমার নামের মুখোশ পরে, করছে বাড়াবাড়ি এবার কিন্তু বলবে এসে মা কি তোদের একা সত্যি যদি থাকো তুমি বুঝিয়ে দেবে দেখা। বলবে তুমি কঠিন গলায়, তোমায় নিয়ে যেসব রাজায় লুকিয়ে রেখে বিষের বাঁশি, সুযোগ বুঝে সেসব বাজায় তোমার নামে বিভেদ-বাঁশি শাস্তি দেবে তাদের তুমি জোর গলাতে জানিয়ে দিও একার নয় এ ভারত-ভূমি। এরা বোঝে না মা তোমার মত, মায়ের গর্ভে জাত যত একই মতের একই পথের, হয় না সবাই মায়ের মতো তবু কি মা ফেলতে পারে বনের পশু পাখির মতো বুঝিয়ে দিও শক্ত হাতে বাঁচতে হবে ভাইয়ের মতো ২৫/০৯/২০১৭ ভোর ৫ টা ৩২ মি পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন ফেসবুকের 

    আরশি নগরের পড়শী

    আলী হোসেনের কবিতা : আরশি নগরের পড়শী  যেদিন কুমিল্লা হল, আমি কলকাতার কানাগলিতে বসে শুনতে পাচ্ছিলাম সবুজপাতার ঝরে পড়ার কর্কশ শব্দ। বুকের ওঠাপড়ার গ্রাফ এঁকে দিচ্ছিল বিবেকের ক্যানভাসে শকুনের আস্ফালন। আমি চিল-চিৎকারে কেঁদে উঠেছিলাম,                     আমার পড়শীর ধমনীর ভেতরে বসেই। কেন জানেন? কেননা, ওরাও তো আমার মতই মানুষ ছিল। যেদিন রংপুর হল, ইনিয়েবিনিয়ে উন্মাদের মুণ্ডুছেদের ছবি এঁকেছিলাম  একমুঠো তুলির বিবেকি আঁচড়ে। ওয়েবের অনাচে-কানাচে পৌঁছে দিয়েছি সেই ছবি  টকশোর টেবিলে ঝড় তুলেছি আমার                      পড়শীর  ধমনীর প্রবাহে বসে। কেন বলুন তো? কেননা, ওরাও আমার মত মানুষ ছিল। সেদিন কুমিল্লা হল, আমি পথে পথে হেঁটেছি লাল-সবুজ-গেরুয়া নিশান হাতে একলহমায় রামধনুতে মুড়িয়ে দিয়েছি দিগন্ত মানবতার মায়ের মৃত্যুর  শোকগাথা শুনিয়েছি, বিশ্ব-বিবেককে ঘুম থেকে টেনে তুলেছি আমার                      সেই  পড়শীরই ধমনীর ধারায় ভেসে। কেন জানেন তো? আসলে, ওরাও তো আমার মতই মানুষ ছিল। ........xx.......

    বন্ধু তুমি নাই - আলী হোসেন

    বন্ধু তুমি নাই আলী হোসেনের লেখা কবিতা ২রা অক্টোবর। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির জন্মদিন। রাষ্ট্রদর্শন বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও তাঁর মানবপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলার যোগ্যতা আমার নেই। জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ --- বাড়ির পাশে যখন দেখি ভাইকে মারে ভাই কারণ হল ও ভিন্নজাত আর ভিন্ন ধর্ম তাই তখন দেখি আমার পাশে বন্ধু তুমি নাই। গ্রামের পথে যখন দেখি নেতার নেতা নাই কারণ হল ও নিন্মজাত মাথায় কিচ্ছু নাই তখন দেখি আমার হাতে তোমার হাতটি নাই। যখন দেখি ঘুমটি দুটোর মাথায় ছাউনি নাই কারণ যেজন পাড়ার দাদা তার দলে সে নাই তখন বুঝি আমার পাশে শান্তি সেনা নাই। যখন তুমি স্বপ্নে আসো দেশটা দেখে কাঁদো আমার বুকে তুফান ওঠে ভাঙে বুকের বাঁধও তখন দেখি আমার পাশে বন্ধু তুমি নাই। ----------xx-------- পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন ফেসবুকে বাড়ির পাশে যখন দেখি ভাইকে মারে ভাই কারণ হল ও ভিন্নজাত আর ভিন্ন ধর্ম তাই তখন দেখি আমার পাশে বন্ধু তুমি নাই। গ্রামের পথে যখন দেখি নেতার নেতা নাই কারণ হল ও নিন্মজাত মাথায় কিচ্ছু নাই তখন দেখি আমার হাতে তোমার হাতটি নাই। যখন দেখি ঘুমটি দুটোর মাথায় ছাউনি নাই কারণ যেজন পাড়ার দাদা তার দলে সে নাই

    শীত ঘুম

    আলী হোসেনের কবিতা : শীত ঘুম  ফুসফুসের প্রতিটি কূপে আঁধার ঘনিয়ে আসছে নীল আকাশে সূর্যাস্তের রঙ সিঁধছে প্রতিক্ষণ বাতাসে কমছে উড়ে বেড়ানোর অবকাশ  লাগছে বেলাগাম ঝাঁকুনি                  আমি তবু দেখছি না কিছুই বিশ্বাসের কোটরে হিস হিস শব্দ শোনা যাচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরা পাখিটি ভয় পাচ্ছে শব্দের                  আমি কিন্তু শুনছি না কিছুই ভালোবাসার পিদিমটা ক্রমশ নিভু নিভু হয়ে আসছে বহুরূপী জলদস্যুর আস্ফালন নৌকায় থাকা দাঁড় আর পালের বিবাদ আজ মাঝির ঘুম কেড়েছে                   অথচ, আমি আছি ঘুমের গভীরে হঠাৎ আয়েশি দেহ মেলে চোখ কচলাতেই দেখি আমি চিপম্যাংক, মেঠো কাঠবিড়ালি সুদূর সুমের থেকে ব্রহ্মান্ড ঘুরে ঘুরে জ্ঞান চক্ষু নিয়ে মানুষের দেশে এসে গেছি                  আসলে, আমি শীত ঘুমে ছিলাম।               -----------//--------- 🔳 উত্তর আমেরিকার ডোরাকাটা মেঠো কাঠবেড়ালি চিপমাংক । শীত আসলেই এরা শীতঘুমে চলে যায়। আগে থেকে গাছের কোটরে খাবার সঞ্চয় করে রাখে, এদের ঘুম একনাগাড়ে হয় না, মাঝে মাঝে জেগে ওঠে ও সে সময়ে খাবার খায়, মলমূত্র ত্যাগ করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। 

    নতুন আলো

    নতুন আলো : আলী হোসেন মানুষ যদি আমি তুমি বসত যদি একই ভূমি ধর্মে কোথায় মিলতে বাধা আর? আমার সাথে তোমার চলা একই সুরেই কথা বলা মানুষ কেন ভাববে অনাচার? ধর্ম যদি জীবন কাড়ে চলার পথে দাঁড়ায় আড়ে মানুষ কেন মানবে মানা তার? ধর্ম যদি বিভেদ আনে মানুষ যদি তাকেই মানে মানুষ কবে মানুষ হবে আর? মানুষ যেদিন বাসবে ভালো ঘুঁচবে ধরার আধাঁর-কালো ধর্ম সেদিন জীবন পাবে ঠিক মানুষ সেদিন মানুষ হবে আসবে সুখের প্লাবন ভবে নতুন আলোয় ভরবে দিগ্বিদিক। _______ আলোর ফুলকি। নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য সংসদ। নদীয়া শাখা। ------------ লেখাটার পটভূমি জানতে এখানে ক্লিক করুন ।