বাইশে শ্রাবণ আলী হোসেন ছড়া : বাইশে শ্রাবণ - আলী হোসেন বাইশে শ্রাবণ বাইশে শ্রাবণ তোমার সাথে আড়ি তোমার জন্য সূর্য গেলো, আমার বিবেক ছাড়ি সে বিবেক আজ ছন্নছাড়া হারিয়ে কমা দাঁড়ি বাইশে শ্রাবণ বাইশে শ্রাবণ দেখছো তুমি চেয়ে তোমার জন্য আমি এখন, নিঃস্ব হয়ে যেয়ে আপনকে আজ পর করেছি ভাইকে ভুলে যেয়ে এ ভাই ছিল আমার বুকে রাখির সুতোয় গাঁথা যে রাখি সব ছিড়ছে দেখি বিষিয়ে মনের খাতা ভয় পেয়ে তাই মিথ্যা গানে সুর ধরেছি যা-তা বাইশে শ্রাবণ বাইশে শ্রাবণ তুমি বড়ই সর্বনেশে মিলন মেলার সুরের ভেলার তাল-কেটে দে শেষে প্রেমের সাগর শুকিয়ে দিলে মরুর ছদ্মবেশে তোমার জন্য বাইশে শ্রাবণ হারিয়ে বটের ঝুরি বাংলা মায়ের দেহ ঘড়ি, হচ্ছে অকাল বুড়ি তাইতো বাঙাল ভাসছে যেন সুতো-কাটা ঘুড়ি বাইশে শ্রাবণ বাইশে শ্রাবণ বুঝছো কাকে খুঁজি? সেজন ছিলেন বাংলা এবং বিশ্ব-মনের-পুঁজি বুঝলে সেজন রবি ঠাকুর নাম শোনোনি বুঝি? ------------ রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি 📖...
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...