আলী হোসেনের প্রেমের কবিতা : আধখোলা জানালায়
যখন মোমের আলোয় ভিজে দাঁড়াতে
আধখোলা জানালায়,
তখন ছায়া পড়তো বুকের ভেতর
একদলা ভালোলাগার।
জেগে উঠতো আমার ভেতরের মজনুটা,
চাঁদের দুরত্ব ভেঙে পৌছতাম
তোমার স্বপ্নের সীমানায়,
একবার ছুঁয়ে যেতে আধখোলা জানালায়।
আকাশের ছাঁয়া খোঁজার নেশা নিয়ে
যখন ক্লান্ত রাতের চোখবুঁজে যেত,
তখনও আমি
টেনে রাখতাম চোখের পাতা
তোমাকে দেখব বলে;
গভীর রাতের আধখোলা জানালায়।
রামধনুর রঙ-মাখা চোখে ভোরের বাতাস মেখে
ঝাঁটা হাতে দাঁড়াতে যখন
উঠোনের কোনে,
তোমার কপালের টিপে ভেসে উঠতো
সকালের সূর্য,
পটে আকাঁ ছবির মত।
আমি দাঁতোনের ডাল মুখে কলপাড়ে দাঁড়াতাম
নরম সূর্যের উষ্ণতা নেব বলে;
তুমি আধখোলা জানালায় ভেবে।
তোমার চিকন ঠোঁটের একদানা তিল
রাতের গভীরতায়
কালপুরুষের বুক ছুঁয়ে যেত
আমার চোখ আঁটকাত আকাশের কালোয়।
আমি কালপুরুষের মত দাঁড়াতাম
সন্ধ্যা-রাতের আধখোলা জানালায়।
যখন বুকের ভিতর শীতের কাঁপুনিতে
তোমার উষ্ণতা হারানোর ভয়ে
নুরমহলে নৈবেদ্য সাজিয়েছে প্রকৃতি
তোমার দুধে-আলতা শরীরের দূতীতে
আমি পুরোহিত হতে দাঁড়িয়েছি
মণ্ডপের আধখোলা জানালায়।
তুমি তখন নবোদ্ভিন্ন স্তনের নিটোল টানে
নতুন কদমফুল।
আর আমি আনকোরা অরণি
আঠারোর যৌবন।
অথবা তোমার উন্নত বুকের ধ্রবতারা।
আজও কি মনে পড়ে
আধখোলা জানালার কথা?
বুঝেছ কি তার ভেঙে পড়ার ইতিকথা.....
-------******--------
ফেসবুকে দেখুন : এখানে ক্লিক করুন
'প্রেমের চিঠি' হিসাবে প্রকাশিত হয় 'তথ্যকেন্দ্র' পত্রিকায়। ১ লা নভেম্বর ২০১৩ - (ফিরে দেখা বন্ধুদের জন্য)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন