স্বাধীনতা দিবস। প্রথম পর্ব, চুয়াত্তরতম বর্ষ মুখভার করা বাতাসের সঙ্গে সমস্ত বীর বিপ্লবী ও স্বাধীনতার সৈনিক, বুক নিংড়ানো উষ্ণতা আর অন্তহীন শ্রদ্ধার সামিয়ানার নীচে বসে আছি আমি নৈবেদ্য হাতে এই শুভক্ষণে প্রকাশ হোক সেই চূড়ান্ত পর্বের রক্তিম সূর্যোদয়ের ইশতিহার, বেজে উঠুক জোটবদ্ধ সাতরঙা সাইরেন। মেঘের আড়ালে ঘাপটি মেরে থাকা বাাজপাখির দাঁত-নখ নপুংসক হোক যাতে, মাকে আমার আর কখনও ধর্ষিতা হতে না হয়। গেয়ে উঠুক সেই শপথ, সেই গান যে, বিশ্বাসের আঁধার আর সংস্কারের কু-মন্ত্রণার ভ্রূণকে প্লাসেন্টায় আঁটকে দেবে মেঘ-মুক্ত আকাশের জন্য নৈবেদ্য সাজাবে; বাতাসে ভাসতে দেবেনা জাত-ধর্ম-বর্ণ-বৈভবের বৈষম্যের সাপলুডুর বীভৎস সুর পরাগ বুকে কুটিল রেণু। দেখুন ফেসবুকের পাতায় । YourQuote
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...