আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : কথা না রাখাটা একটা আর্ট চারিদিকে নিস্তব্ধতার ঝড় বইছে ... সেই নিস্তব্ধতার ঝড়ের সঙ্গী তুমি বিষাক্ত বাতাসের মত আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে বিশ্বাসের আকালে চারিদিকে শব্দহীন বাদ্য বাজছে... সেই বাজনায় ভেসে আসছে অসুরের অট্টহাসি ঝর্ণাধারার মত আমি অচেনা বিশ্বাসের ব্যালকনিতে ভাসছি বিশ্বাসের আকাল নিয়ে চারপাশটা অসমান হিংস্রতায় হাসছে... সেই হাসিতে জলকনাহীন বাষ্পের করুণ ছটফটানি কাটা কইয়ের মত তুমি বইছো পানা ভরা পাকের মধ্যে দিয়ে বিশ্বাসের বিশ্বায়ন ফেরি করে মুখ ভরা শ্মশ্রু নিয়ে ঋষিবেশে হেসে যাচ্ছ তুমি সেই বেশের মধ্যেই অবিশ্বাসের কিটাণুর আনাগোনা বাড়ছে ঘুণের মত আমি অসহায় ভাবে চেয়ে আছি তীর্থের কাক একটু বিশ্বাসের বৃষ্টি পাবো বলে অথচ সবুজ আর নিঃশ্বাসের কিংমেকার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলে মরুর মরীচিকার বদলে মরুদ্যানের মত আজ তুমিই নতুন করে বোঝালে কথা দিয়ে কথা না রাখাটাও একটা আর্ট -------//------ দেখুন ফেসবুকে, ক্লিক করুন এখানে
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ ছিল পাখিটার! কেন নিজভূমে হল পরবাসী? সে তো মধ্য-সাগরের স্রোতকে কব্জা করেনি, চায়ওনি কখনো ভেঙে দেয়নি কারও স্বপ্ন, ডিঙা ভাসানোর অধিকার।