সকাল বিকাল সন্ধ্যে, কেন থাকবে মন ধন্দে দেশের মাথা হবে নিচু বললে প্রজা এমন কিছু জেলের ঘানি টানবে নিয়ম তারা নেতায় যদি করবে এমন শুনবে প্রজা যেমন তেমন বলবেই না কোনো কথা, দেশের ভালো মন্দে দেশের ভালো মন্দ, কেন থাকবে মনে দ্বন্দ্ব দেশের ক্ষতি হবে কোন করলে কাজ এমন কোন জামিন পেতেই জীবন যাবে মারা নেতায় যদি করে এমন কেঁদে ভাসায় মায়ে যেমন তেমন করে কাঁদবে প্রজা, থাকবে কেন সন্দ কাঁদবে প্রজা কাঁদবে, কেন থাকবে তাতে সন্দ নেতার জন্য জীবন দিয়ে ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে দেখি নেতার গদি পাক্কা করে যারা পথের ধারে শহিদ-স্মৃতি পিছিয়ে পড়া মানুষ-কৃতী হবেই হবে জানবে মানুষ, বলবে কেন মন্দ উৎস : ফেসবুক
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ ছিল পাখিটার! কেন নিজভূমে হল পরবাসী? সে তো মধ্য-সাগরের স্রোতকে কব্জা করেনি, চায়ওনি কখনো ভেঙে দেয়নি কারও স্বপ্ন, ডিঙা ভাসানোর অধিকার।