আলী হোসেনের কবিতা : মুক্তির ডানায় আঠারো দিগন্ত বিস্তৃত ভাবনার আকাশে মুক্ত তোমার ইচ্ছেরা, আঠারোর আবেগ-পাখায় ভর দিয়ে তুমি মুক্তির ডানা ঝাপটাও প্রতি দিন, প্রতি ক্ষণ। লাল রঙা প্রভাতের হাসিমুখে ভুলে স্নেহ, মায়া আর মমতার রশিতে বানিয়েছিলাম এক স্বপ্নময় রঙিন খাঁচা। তুমি সেই খাঁচায় বন্দি হয়ে আছো আঠারোর প্রত্যাশা নিয়ে, যেখানে আলো আর বাতাসের চাপ চাপ উপস্থিতি। অথচ দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছো না, আগল কেটে ফেরার হওয়ার ইচ্ছায় তুমি পাখা ঝাপটাও প্রতি দিন , প্রতি ক্ষণ। তোমার চারপাশে, বাতাসের অনুপরমাণুতে ভাসছে স্নেহের বেড়ি তোমার ভালোর বাসনারা, সবসময় ব্যস্ত প্রহরী হয়ে দাড়িয়ে আছে ঘরে দুয়ারে তুমি ক্লান্ত বোধ করো, মুক্তি চাও এই বেড়ি থেকে। সীমাহীন সীমানার হাতছানি নিঃশব্দ থাকে, স্নেহের অদৃশ্য বেড়ি ভাঙার ইচ্ছায় তুমি ডানা ঝাপটাও প্রতি দিন , প্রতি ক্ষণ। তুমি ভুলে যাও, পরকে আপন করতে পারার চেষ্টা নিশ্চয়ই শিক্ষা, কিন্তু আপনের আগল ভাঙার বিনিময়ে হলে তা অসম্পূর্ণ, প্রতি দিন , প্রতি ক্ষণ।
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...