আলী হোসেনের কবিতা : শীত ঘুম ফুসফুসের প্রতিটি কূপে আঁধার ঘনিয়ে আসছে নীল আকাশে সূর্যাস্তের রঙ সিঁধছে প্রতিক্ষণ বাতাসে কমছে উড়ে বেড়ানোর অবকাশ লাগছে বেলাগাম ঝাঁকুনি আমি তবু দেখছি না কিছুই বিশ্বাসের কোটরে হিস হিস শব্দ শোনা যাচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরা পাখিটি ভয় পাচ্ছে শব্দের আমি কিন্তু শুনছি না কিছুই ভালোবাসার পিদিমটা ক্রমশ নিভু নিভু হয়ে আসছে বহুরূপী জলদস্যুর আস্ফালন নৌকায় থাকা দাঁড় আর পালের বিবাদ আজ মাঝির ঘুম কেড়েছে অথচ, আমি আছি ঘুমের গভীরে হঠাৎ আয়েশি দেহ মেলে চোখ কচলাতেই দেখি আমি চিপম্যাংক, মেঠো কাঠবিড়ালি সুদূর সুমের থেকে ব্রহ্মান্ড ঘুরে ঘুরে জ্ঞান চক্ষু নিয়ে মানুষের দেশে এসে গেছি আসলে, আমি শীত ঘুমে ছিলাম। -----------//--------- 🔳 উত্তর...
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...