আলী হোসেনের কবিতা : আরশি নগরের পড়শী যেদিন কুমিল্লা হল, আমি কলকাতার কানাগলিতে বসে শুনতে পাচ্ছিলাম সবুজপাতার ঝরে পড়ার কর্কশ শব্দ। বুকের ওঠাপড়ার গ্রাফ এঁকে দিচ্ছিল বিবেকের ক্যানভাসে শকুনের আস্ফালন। আমি চিল-চিৎকারে কেঁদে উঠেছিলাম, আমার পড়শীর ধমনীর ভেতরে বসেই। কেন জানেন? কেননা, ওরাও তো আমার মতই মানুষ ছিল। যেদিন রংপুর হল, ইনিয়েবিনিয়ে উন্মাদের মুণ্ডুছেদের ছবি এঁকেছিলাম একমুঠো তুলির বিবেকি আঁচড়ে। ওয়েবের অনাচে-কানাচে পৌঁছে দিয়েছি সেই ছবি টকশোর টেবিলে ঝড় তুলেছি আমার পড়শীর ধমনীর প্রবাহে বসে। কেন বলুন তো? কেননা, ওরাও আমার মত মানুষ ছিল। সেদিন কুমিল্লা হল, আমি পথে পথে হেঁটেছি লাল-সবুজ-গেরুয়া নিশান হাতে একলহমায় রামধনুতে মুড়িয়ে দিয়েছি দিগন্ত মানবতার মায়ের মৃত্যুর শোকগাথা শুনিয়েছি, বিশ্ব-বিবেককে ঘুম থেকে টেনে তুলেছি আমার সেই...
কবি আলী হোসেন : তুমি আসবে বলে তুমি চোখ খোলো দেখো আঁধার রয়েছে আলোর মধ্যে এ আলো তোমার জন্য নয় নিষ্পাপ রোদের মধ্যে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি কতকাল! তুমি বলেছিলে, সেখানেই আসবে তুমি শৈশবের বসন্ত গেল। তুমি ছিলেনা একমুঠো যবের আটায় তোমার মুখ এঁকেছি প্রতিদিন কথা দিয়েছিলে নতুন সূর্যের ফসল হয়ে আসবে। থাকবে আমার বামপাঁজরের নিচে দিনান্তে, তুমি এলে না কৈশোরের চঞ্চলতায় তোমাকে এঁকে নিয়েছি খাতায় কচুপাতায় জমা শিশিরের স্ফটিক ছবিতে দাঁড়িয়ে থেকেছি নিষ্পলক হলুদ বারান্দায় তুমি আসবে বলেছিলে তাই। তবুও তুমি এলেনা। কৈশোর চলে গেল ভুলে, গেল ভোরের বাতাস। সময়ের মত দূপুরের তাতে ঘেমেছি,পুড়েছি সেও অনেককাল হল তবু তুমি এলেনা তুমি কি এখনও বন্দি বাস্তিলের দুর্ভেদ্য কুঠরিতে পলাশীর মাঠ হয়ে রাইটার্সের বারান্দায় স্বপ্ন দেখেছি, লাল সালুকে ভেসে আসবে আমার ছোট্ট কু...