বন্ধু তুমি ------------ আলী হোসেন যখন তোমার জন্য আকাশ হয়ে কষ্টে ভাঙে বুক তুমি বন্ধু সামনে এসো একটুখানি ভালোবেসো নেবো বৃষ্টি-ভেজা সুখ যখন তোমার জন্য বাতাস হয়ে দুঃখে ভাসে বুক বন্ধু তুমি ভাসিয়ে নিয়ো একটুখানি ছুঁয়ে দিয়ো নেবো পাতা-নড়া সুখ তোমার নামে বন্ধু যখন আমি রাত্রি জাগি রোজ দাঁড়িও যেন মোমের আলো ঘুচিয়ে দিতে মনের কালো নিয়ো জোসনা হয়ে খোঁজ তোমার নামে বন্ধু যখন আমি স্বপ্ন দেখি রাতে তুমি বন্ধু স্বপ্নে এসো একটুখানি পাশে বোসো হাতটি রেখে হাতে তোমার জন্য বন্ধু যখন আমি চন্দ্র হবো দেখো বন্ধু তুমি রাত্রি জেগে আমার জন্য একটু রেগে অপেক্ষাতে থেকো তোমার জন্য রাত পোহালে রাত্রি সেচে দেখো বন্ধু তোমায় হারিয়ে দিয়ে আঁধার-হারি জীবন নিয়ে তোমায় দেবো, রেখো। অন্যান্য উৎস : প্রতিলিপি , ফেসবুক , YourQuote
শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়। আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও। যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো। এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ ছিল পাখিটার! কেন নিজভূমে হল পরবাসী? সে তো মধ্য-সাগরের স্রোতকে কব্জা করেনি, চায়ওনি কখনো ভেঙে দেয়নি কারও স্বপ্ন, ডিঙা ভাসানোর অধিকার।