সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

The birds are terrorists!

The birds are terrorists! Read in Bengali Political Poem of Ali Hossain I want to spread my wings, love the open sky I did not imprison you that day, because of this right Yet, today I am an inmate of an open prison And, he's the prison guard, I know Not I am, but you! Thinking you will breathe, I loosened the chest rib Immigrant you, I will float with you forever, in this thought. Look, I'm floating in a raft of gunpowder today. And you became the ruler of that sky Not I am, but you! I thought I would live forever clinging to the shade of olive trees Not cut, but in the folds of poetry, I will find you. That's me, the fan jumps at the sound of the cannon today, sleep. Although he is the word-master, everyone knows I am not, you are! I held back the tears... for eight decades To share the pain of longing, secretly with you. Today he is dry, like Chatak's voice. Who is the creator of this thirst! the world knows I am not, you are! What was wrong with the bird! Why is he ...

শিকারি নয়, পাখিরাই সন্ত্রাসী হয়!

শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী            আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে  তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়।            আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে  কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও।            যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল  বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো।             এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...

মাড়িয়ে যাবো একদিন

জেগে উঠবই একদিন আলী হোসেন মাড়িয়ে যাবো একদিন - আলী হোসেন  আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ‘মাড়িয়ে যাবো একদিন’। অশরীর নও, তবু খনা গলায় হাসছো? হাসো... অপেক্ষা করছি বিনিদ্র রজনী তোমার বারুদে বুক সেকে বরণ নয়, তোমাকে স্মরণ করবো বলে; পলকহীন জেগে থাকবো, দগ্ধ-দেহ-গন্ধ প্রিয় ও মুখ ফেরাউনের চেহারায় পাল্টে দেবো একদিন। লাশের উপত্যকায় বসে শান্তি খোঁজো? খোঁজো... অপেক্ষা করছি বুকের বাম পাশে ধক্ ধক্ শব্দ করে স্যালুট নয়, তোমাকে স্মরণ করবো বলে; জেগে থাকবো সহস্র এক রজনী তোমার বামপাশের  শব্দ ও তার মানে, পাল্টে দেবো একদিন। আমার পাঁজর ভেঙে শান্তি কিনছো? কেনো... অপেক্ষা করছি, যুগান্তরের পথে এক স্বপ্ন-পাঁজর নিয়ে,  জীবন নয়, তোমার কাফন কিনবো বলে; জেগে থাকব, লাল মুখো প্রেতাত্মা রূপে খোজা শান্তির মানে, পাল্টে দেবো একদিন কীভাবে অধিকার খোঁজো, কার জন্য? খোঁজো... আমার অধিকারের বুকে কবর খোঁড়ে যে শ্বাপদ, বলে দাও দেখা হবে ‘আট দশকের অভিশাপ’ হয়ে; শ্রম আর স্বপ্নের দখলদারের পারদ-পতনের শব্দে তোমার স্বপ্ন, মাড়িয়ে যাবো একদিন। ---------xx---------

📂 আলী হোসেনের জনপ্রিয় কবিতাগুলি পড়ুন

তুমি আসবে বলে

কবি আলী হোসেন : তুমি আসবে বলে তুমি চোখ খোলো দেখো আঁধার রয়েছে আলোর মধ্যে এ আলো তোমার জন্য নয় নিষ্পাপ রোদের মধ্যে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি কতকাল!               তুমি বলেছিলে, সেখানেই আসবে তুমি শৈশবের বসন্ত গেল। তুমি ছিলেনা একমুঠো যবের আটায় তোমার মুখ এঁকেছি প্রতিদিন কথা দিয়েছিলে নতুন সূর্যের ফসল হয়ে আসবে।  থাকবে আমার বামপাঁজরের নিচে                দিনান্তে, তুমি এলে না কৈশোরের চঞ্চলতায় তোমাকে এঁকে নিয়েছি খাতায় কচুপাতায় জমা শিশিরের  স্ফটিক ছবিতে দাঁড়িয়ে থেকেছি নিষ্পলক হলুদ বারান্দায়              তুমি আসবে বলেছিলে তাই।             তবুও তুমি এলেনা।  কৈশোর চলে গেল ভুলে, গেল ভোরের বাতাস। সময়ের মত দূপুরের তাতে ঘেমেছি,পুড়েছি সেও অনেককাল হল              তবু তুমি এলেনা তুমি কি এখনও বন্দি বাস্তিলের দুর্ভেদ্য কুঠরিতে পলাশীর মাঠ হয়ে রাইটার্সের বারান্দায় স্বপ্ন দেখেছি, লাল সালুকে ভেসে আসবে  আমার ছোট্ট কু...

শিকারি নয়, পাখিরাই সন্ত্রাসী হয়!

শিকারি নয়, পাখিরাই বুঝি সন্ত্রাসী হয় ! আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ডানা মেলতে চেয়েছি, খোলা আকাশকে ভালোবেসে তোমাকে বন্দী করিনি সেদিন, এই অধিকারের অছিলায় তবু, আজ আমি এক উন্মুক্ত কারাগারে বন্দীবাসী            আর, সে কারাগারের রাজরক্ষী, আজ আমি নই, তুমি! তুমি শ্বাস নেবে ভেবে, আলগা করেছিলাম বুকের পাঁজর পরিযায়ী জেনে, তোমাকে জায়গা দিয়েছিলাম যে পানসিতে  তাকিয়ে দ্যাখো, সে এখন বারুদ বাতাসে ডুবন্ত প্রায়।            আর সেই ছোট্ট পানসির নিয়ন্ত্রক, আজ আমি নই, তুমি! আজীবন বাঁচবো ভেবেছি জলপাইয়ের ছায়াকাশে  কাটাছেঁড়া নয়, কবিতার ভাঁজে তোমাকে পাবো বলে নিভৃতে সেই আমি, আজ কামানের শব্দে পাখা ঝাঁপটাই... ঘুমাইও।            যদিও সে শব্দ-মালিক, বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! চোখের জলকে আগলে রেখেছি, আট দশক হয়ে গেল  বিরহের বেদনা ভাগ করে নিতে, গোপনে তোমারই অনুসঙ্গে। আজ সে শুকিয়ে গেছে, চাতকের কন্ঠের মতো।             এ পিপাসার সৃষ্টিকর্তা কে! বিশ্ব জানে আমি নই, তুমিই! কী দোষ...

মাড়িয়ে যাবো একদিন

জেগে উঠবই একদিন আলী হোসেন মাড়িয়ে যাবো একদিন - আলী হোসেন  আলী হোসেনের রাজনৈতিক কবিতা : ‘মাড়িয়ে যাবো একদিন’। অশরীর নও, তবু খনা গলায় হাসছো? হাসো... অপেক্ষা করছি বিনিদ্র রজনী তোমার বারুদে বুক সেকে বরণ নয়, তোমাকে স্মরণ করবো বলে; পলকহীন জেগে থাকবো, দগ্ধ-দেহ-গন্ধ প্রিয় ও মুখ ফেরাউনের চেহারায় পাল্টে দেবো একদিন। লাশের উপত্যকায় বসে শান্তি খোঁজো? খোঁজো... অপেক্ষা করছি বুকের বাম পাশে ধক্ ধক্ শব্দ করে স্যালুট নয়, তোমাকে স্মরণ করবো বলে; জেগে থাকবো সহস্র এক রজনী তোমার বামপাশের  শব্দ ও তার মানে, পাল্টে দেবো একদিন। আমার পাঁজর ভেঙে শান্তি কিনছো? কেনো... অপেক্ষা করছি, যুগান্তরের পথে এক স্বপ্ন-পাঁজর নিয়ে,  জীবন নয়, তোমার কাফন কিনবো বলে; জেগে থাকব, লাল মুখো প্রেতাত্মা রূপে খোজা শান্তির মানে, পাল্টে দেবো একদিন কীভাবে অধিকার খোঁজো, কার জন্য? খোঁজো... আমার অধিকারের বুকে কবর খোঁড়ে যে শ্বাপদ, বলে দাও দেখা হবে ‘আট দশকের অভিশাপ’ হয়ে; শ্রম আর স্বপ্নের দখলদারের পারদ-পতনের শব্দে তোমার স্বপ্ন, মাড়িয়ে যাবো একদিন। ---------xx---------

শঙ্খ পতন

কবি আলী হোসেনের কবিতা : শঙ্খ পতন (কবি শঙ্খ ঘোষকে স্মরণ করে লেখা কবিতা)  সময়-সময় সময় বড় কঠিন হয় অসময়ে শঙ্খধনি বাজলে বড়ই ভরসা হয় সময় যখন বিপদগামী তোমার হাতের কলমছড়ি সপাত সুরে কাঁপিয়ে দেয় রুদ্ধ দ্বার              ঘোর ঘুমেতে ঘুমোয় সময় তোমার ছন্দ-শব্দ-ছোয়ায় হঠাৎ ভাঙে অলস ঘুমের বদ্ধ ভূমি শাম ও খাম-এ জন্ম তোমার শঙ্খম হয়ে বাঁচো বাঁচাও, মুমূর্ষু মন জাগে লাল চোখেতে সুরমা ঘষো             জল চোখেতে বল তোমার হাতের কলমছড়ি এগোয়, কাঁপিয়ে শাসক দল তোমার কলম মাখায় মলম পাঁজর ভাঙা ভুলে বলহীন যে সবল হয় শিরদাঁড়াটা তুলে সময়-সময় সময় বড় কঠিন হয় অসময়ে শঙ্খ পতন, বড্ড বেশি ভয়ের হয়। -------//------ 🔳  শঙ্খ  শব্দটি এসেছে দুটি সংস্কৃত শব্দ 'শাম' ও 'খাম' থেকে। 'শাম' শব্দের অর্থ শুভ এবং 'খাম' শব্দের অর্থ জল। এই শব্দের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে 'শঙ্খম' শব্দটি। তা থেকেই শঙ্খ। দেখুন ফেসবুকে 👉 ক্লিক করুন এখানে

আইন তুমি কার

আইন তুমি কার? আইন তুমি সত্যি বল, কার? বিত্তবাবুর সঙ্গে মধুর মিলন হবে যার আইন তুমি সত্যি বল, কেন? বিত্তবাবুর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলেনা যেন। আইন তুমি আমার হবে কখন? তোমার সাথে বিত্ত-বাবুর মিলন হবে যখন আইন তুমি আর কী কারও হবে? টাকার সাথে ‘শিক্ষা-গুরুর’ সখ্য যাদের হবে। আইন তুমি ‘অন্ধ’ হবে কখন? অন্যায় আর বিত্তবাবুর বাসর বসবে যখন। আইন তুমি অন্ধ হবে কখন! না না, ন্যায়ের সাথে বিত্তবাবুর মিলন হবে যখন আইন তুমি আমার হবে কবে? যখন বিত্তবাবুর সাথে আমার বন্ধু-বিয়োগ হবে আইন তুমি সত্যি হবে কবে? আমার সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেই যেদিন দৃষ্টিহীন হবে ১৯/০৯/২০১৭ রাত্রি ১০ টা ১৮ মি পাঠকের মতামত দেখুন এখানে ক্লিক করে উৎস : ড্রাইভ

আধখোলা জানালায়

আলী হোসেনের প্রেমের কবিতা : আধখোলা জানালায় যখন মোমের আলোয় ভিজে দাঁড়াতে আধখোলা জানালায়, তখন ছায়া পড়তো বুকের ভেতর একদলা ভালোলাগার। জেগে উঠতো আমার ভেতরের মজনুটা, চাঁদের দুরত্ব ভেঙে পৌছতাম তোমার স্বপ্নের সীমানায়, একবার ছুঁয়ে যেতে আধখোলা জানালায়। আকাশের ছাঁয়া খোঁজার নেশা নিয়ে যখন ক্লান্ত রাতের চোখবুঁজে যেত, তখনও আমি টেনে রাখতাম চোখের পাতা তোমাকে দেখব বলে; গভীর রাতের আধখোলা জানালায়। রামধনুর রঙ-মাখা চোখে ভোরের বাতাস মেখে ঝাঁটা হাতে দাঁড়াতে যখন উঠোনের কোনে, তোমার কপালের টিপে ভেসে উঠতো সকালের সূর্য, পটে আকাঁ ছবির মত। আমি দাঁতোনের ডাল মুখে কলপাড়ে দাঁড়াতাম নরম সূর্যের উষ্ণতা নেব বলে; তুমি আধখোলা জানালায় ভেবে। তোমার চিকন ঠোঁটের একদানা তিল রাতের গভীরতায় কালপুরুষের বুক ছুঁয়ে যেত আমার চোখ আঁটকাত আকাশের কালোয়। আমি কালপুরুষের মত দাঁড়াতাম সন্ধ্যা-রাতের আধখোলা জানালায়। যখন বুকের ভিতর শীতের কাঁপুনিতে তোমার উষ্ণতা হারানোর ভয়ে  নুরমহলে নৈবেদ্য সাজিয়েছে প্রকৃতি তোমার দুধে-আলতা শরীরের দূতীতে আমি পুরোহিত হতে দাঁড়িয়েছি মণ্ডপের আধখোলা জানালায়। তুমি তখন নবোদ্ভিন্ন স্তনের নিটোল টানে নতুন কদমফুল। আর আমি আনকোরা ...

স্বপ্ন ভাঙার গল্প

স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প - আলী হোসেন ঃ সেদিন শেষ রাতে স্বপ্ন দেখছিলাম, গভীর রাতে সূর্য্য উঠছে আমার ভাঙা কপালের ফাঁক দিয়ে ওরা বলেছিল, শেষ রাতের স্বপ্ন সত্যি হয়,                             আমাদের সঙ্গে এসো। হঠাৎ, নিশীথ সূর্যের আলোয় জেগে উঠেছিল এক চিলতে চিলেকোঠার চূড়া দেখলাম, আমার স্বপ্নগুলোই উঁকি দিচ্ছে  একমুঠো ভাত হয়ে                              তারই জরাজীর্ণ ঘুলঘুলিতে। তারপর স্বপ্ন শেষ হল...., দেখলাম, আমার ভাতের স্বপ্নগুলোই কাঠ কয়লার মত লাশ হয়ে পড়ে আছে                           বগটুইয়ের একচিলতে মেঝেতে। রাজ-শকুনেরা বনবন করে উড়ছে, ঠোকরাচ্ছে, আর কাড়াকাড়ি করছে                           ভাগাড়ের দখলদারিতে। আর একদিন দেখলাম, রাতের আঁধার ভেঙে এক দোয়াত কালি উঠছে পা বেয়ে,  তারপর আমার মাথার অলিতে গলিতে...

বরাকের মিনি ও রহমত

সেদিন সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। আকাশের তারা খসার মত আমার আত্মা খসে খসে পড়ছিল রুক্ষ আর শুষ্ক রহমতের বুকে সারা দেশের ড্রইং রুম কেঁপে উঠেছিল বর্বরতার যন্ত্রনায় চোদ্দ থেকে চল্লিশ ইঞ্চির বোকা বাক্সে চোখ রেখে আমার মত সারাদেশ শোকে মাতন করেছে শ্বাস-কাটা মুরগির মত। আমিও দেখেছি সেই কালো সময়ের দুর্গন্ধ মাখা জীবন্ত লাশের অসহায় পিলখানার গোঙানি, অনুভব করেছি হৃদকম্প কিন্তু আজ স্নায়ুতে কম্পন নেই,বিবেকের পিতা শুড়িখানায় শুয়ে আছে নিশ্চিন্তে। দরং এর দরজায় কেঁপে কেঁপে উঠছে ছোট ছোট জোনাকির মত রহমতের মিনিরা চোখ বুঁজে আমার আত্মা নাচছে, তান্ডব করছে বরাকের বাঁকে রহমতের বুকে। তবু ড্রইং রুম শ্মশানের নিস্তব্ধতায় ঝিমোচ্ছে... কেন? ভেবে দেখলাম আমার বিবেক বন্ধক পড়ে গেছে কর্পোরেটের আঁধার কুলুঙ্গিতে,যেখানে আলোর প্রবেশ নিষেধ।

ঈগলের জ্ঞাতি

ঈগলের জ্ঞাতি আলী হোসেন তোমার সেই ছোট্টবেলার কথা মনে আছে যা বলেছিলে প্রথম দেখার দিন? বলেছিলে তোমার প্রিয় বন্ধুর কথা; যে বলেছিল, 'জানিস মোহিত তোর মধ্যেই আমি আমাকে দেখতে পাই, তুই পাস?' তুমি বলেছিলে, পাই। আরও অনেক কিছু দেখি সেখানে। সবুজ মাঠ, হেলে পড়া বট, মজে যাওয়া নদীর দীর্ঘশ্বাস। দেখি একমুখ দাড়ি নিয়ে ন্যুজ বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে আমাকে বুকে নিয়ে। বুক ভরে শ্বাস নিতে নিতে দেখি আমার মায়ের নিশ্চিন্ত শ্বাসের মধ্যে ছাদহীন কুঠিরে, যে দাঁড়িয়ে, সে তো তুই-ই! সেদিন আরও অনেক কিছু বলেছিলে তুমি। অনেক কঠিন লেগেছিল সেসব। আজ যখন বুঝতে পারি তোমার সেই সহজ কথাগুলো, তখন তুমি ঝাপসা হয়ে গেলে। অবুঝ আর কঠিন হয়ে গেলে, ঘোর সন্ধ্যায়। আবছা আলোয় মাঝে মাঝে দেখতে পাই ঈগলের লাল চোখ, তোমার কপালের দু'পাশে! গেরুয়ার বদলে যাওয়া রঙের আভায় কী করে সাহসে বদলে গেল তোমার ভয়? কী করে বললে, 'আমার ওসব নেই; আমিও তো ঈগলেরই জ্ঞাতি, আমি তাদেরই লোক !' --------------***----------- লেখাটি নতুন গতির ঈদসংখ্যায় প্রকাশের জন্য সম্পাদক মহাশয় নিয়েছিলেন। জানা হয়ে ওঠেনি কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছে কিনা।

আঁধারের মেওয়া

আঁধারের মেওয়া আলী হোসেন আগুনের কি ক্ষমতা থাকে বারুদের আস্ফালন রুখে দেওয়ার? জল প্লাবনকে আটকাবে যদি, তার খিদের কী হবে? এতসব প্রশ্নের কোন মানে হয় না শুধু দেখে যাও আমরা মাথা উচু করে হাঁটছি প্লাবন ঠেলে, জগৎ সভায় ডিঙোচ্ছি এক একটা মাইল ফলক। হোক না তা বারুদ আর বর্বরতার সাঁকোয় চড়ে! বলছি, আগুনকে ভালোবাসো, হোক না তা নৃশংসতার, এই ভেবে, সে অন্ধকারের শত্রু সহ্য করো তাকে সম্ব্রমের বিনিময়ে হলেও এই ভেবে, একদিন সে ভালোবাসার দাগ রেখে যাবে, হোক না, সে দাগের নাম গুজরাট, কিম্বা মনিপুরি কোন অচিন গাঁ নগ্নতার কোন মিছিলেই তো হবে আমাদের রাজাধিরাজের নতুন অভিষেক। এটাই তো রীতি, এটাই তো রেওয়াজ আমাদের। সবুরে মেওয়া ফলে, নগ্নতার আর আঁধারের মেওয়া, সেটাই তো খেয়ে যাই আমরা তারিয়ে তারিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরবতায়, চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, ভেবে। -------xx------ 👉 ফেসবুকে পড়ুন এখানে ক্লিক করে