আলী হোসেনের কবিতা : শীত ঘুম ফুসফুসের প্রতিটি কূপে আঁধার ঘনিয়ে আসছে নীল আকাশে সূর্যাস্তের রঙ সিঁধছে প্রতিক্ষণ বাতাসে কমছে উড়ে বেড়ানোর অবকাশ লাগছে বেলাগাম ঝাঁকুনি আমি তবু দেখছি না কিছুই বিশ্বাসের কোটরে হিস হিস শব্দ শোনা যাচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরা পাখিটি ভয় পাচ্ছে শব্দের আমি কিন্তু শুনছি না কিছুই ভালোবাসার পিদিমটা ক্রমশ নিভু নিভু হয়ে আসছে বহুরূপী জলদস্যুর আস্ফালন নৌকায় থাকা দাঁড় আর পালের বিবাদ আজ মাঝির ঘুম কেড়েছে অথচ, আমি আছি ঘুমের গভীরে হঠাৎ আয়েশি দেহ মেলে চোখ কচলাতেই দেখি আমি চিপম্যাংক, মেঠো কাঠবিড়ালি সুদূর সুমের থেকে ব্রহ্মান্ড ঘুরে ঘুরে জ্ঞান চক্ষু নিয়ে মানুষের দেশে এসে গেছি আসলে, আমি শীত ঘুমে ছিলাম। -----------//--------- 🔳 উত্তর আমেরিকার ডোরাকাটা মেঠো কাঠবেড়ালি চিপমাংক । শীত আসলেই এরা শীতঘুমে চলে যায়। আগে থেকে গাছের কোটরে খাবার সঞ্চয় করে রাখে, এদের ঘুম একনাগাড়ে হয় না, মাঝে মাঝে জেগে ওঠে ও সে সময়ে খাবার খায়, মলমূত্র ত্যাগ করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
আঁধারের মেওয়া আলী হোসেন আগুনের কি ক্ষমতা থাকে বারুদের আস্ফালন রুখে দেওয়ার? জল প্লাবনকে আটকাবে যদি, তার খিদের কী হবে? এতসব প্রশ্নের কোন মানে হয় না শুধু দেখে যাও আমরা মাথা উচু করে হাঁটছি প্লাবন ঠেলে, জগৎ সভায় ডিঙোচ্ছি এক একটা মাইল ফলক। হোক না তা বারুদ আর বর্বরতার সাঁকোয় চড়ে! বলছি, আগুনকে ভালোবাসো, হোক না তা নৃশংসতার, এই ভেবে, সে অন্ধকারের শত্রু সহ্য করো তাকে সম্ব্রমের বিনিময়ে হলেও এই ভেবে, একদিন সে ভালোবাসার দাগ রেখে যাবে, হোক না, সে দাগের নাম গুজরাট, কিম্বা মনিপুরি কোন অচিন গাঁ নগ্নতার কোন মিছিলেই তো হবে আমাদের রাজাধিরাজের নতুন অভিষেক। এটাই তো রীতি, এটাই তো রেওয়াজ আমাদের। সবুরে মেওয়া ফলে, নগ্নতার আর আঁধারের মেওয়া, সেটাই তো খেয়ে যাই আমরা তারিয়ে তারিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরবতায়, চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, ভেবে। -------xx------ 👉 ফেসবুকে পড়ুন এখানে ক্লিক করে