আলী হোসেনের কবিতা : মুক্তির ডানায় আঠারো দিগন্ত বিস্তৃত ভাবনার আকাশে মুক্ত তোমার ইচ্ছেরা, আঠারোর আবেগ-পাখায় ভর দিয়ে তুমি মুক্তির ডানা ঝাপটাও প্রতি দিন, প্রতি ক্ষণ। লাল রঙা প্রভাতের হাসিমুখে ভুলে স্নেহ, মায়া আর মমতার রশিতে বানিয়েছিলাম এক স্বপ্নময় রঙিন খাঁচা। তুমি সেই খাঁচায় বন্দি হয়ে আছো আঠারোর প্রত্যাশা নিয়ে, যেখানে আলো আর বাতাসের চাপ চাপ উপস্থিতি। অথচ দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছো না, আগল কেটে ফেরার হওয়ার ইচ্ছায় তুমি পাখা ঝাপটাও প্রতি দিন , প্রতি ক্ষণ। তোমার চারপাশে, বাতাসের অনুপরমাণুতে ভাসছে স্নেহের বেড়ি তোমার ভালোর বাসনারা, সবসময় ব্যস্ত প্রহরী হয়ে দাড়িয়ে আছে ঘরে দুয়ারে তুমি ক্লান্ত বোধ করো, মুক্তি চাও এই বেড়ি থেকে। সীমাহীন সীমানার হাতছানি নিঃশব্দ থাকে, স্নেহের অদৃশ্য বেড়ি ভাঙার ইচ্ছায় তুমি ডানা ঝাপটাও প্রতি দিন , প্রতি ক্ষণ। তুমি ভুলে যাও, পরকে আপন করতে পারার চেষ্টা নিশ্চয়ই শিক্ষা, কিন্তু আপনের আগল ভাঙার বিনিময়ে হলে তা অসম্পূর্ণ, প্রতি দিন , প্রতি ক্ষণ।
কবি আলী হোসেন : তুমি আসবে বলে তুমি চোখ খোলো দেখো আঁধার রয়েছে আলোর মধ্যে এ আলো তোমার জন্য নয় নিষ্পাপ রোদের মধ্যে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি কতকাল! তুমি বলেছিলে, সেখানেই আসবে তুমি শৈশবের বসন্ত গেল। তুমি ছিলেনা একমুঠো যবের আটায় তোমার মুখ এঁকেছি প্রতিদিন কথা দিয়েছিলে নতুন সূর্যের ফসল হয়ে আসবে। থাকবে আমার বামপাঁজরের নিচে দিনান্তে, তুমি এলে না কৈশোরের চঞ্চলতায় তোমাকে এঁকে নিয়েছি খাতায় কচুপাতায় জমা শিশিরের স্ফটিক ছবিতে দাঁড়িয়ে থেকেছি নিষ্পলক হলুদ বারান্দায় তুমি আসবে বলেছিলে তাই। তবুও তুমি এলেনা। কৈশোর চলে গেল ভুলে, গেল ভোরের বাতাস। সময়ের মত দূপুরের তাতে ঘেমেছি,পুড়েছি সেও অনেককাল হল তবু তুমি এলেনা তুমি কি এখনও বন্দি বাস্তিলের দুর্ভেদ্য কুঠরিতে পলাশীর মাঠ হয়ে রাইটার্সের বারান্দায় স্বপ্ন দেখেছি, লাল সালুকে ভেসে আসবে আমার ছোট্ট কু...