কবি আলী হোসেন : তুমি আসবে বলে তুমি চোখ খোলো দেখো আঁধার রয়েছে আলোর মধ্যে এ আলো তোমার জন্য নয় নিষ্পাপ রোদের মধ্যে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি কতকাল! তুমি বলেছিলে, সেখানেই আসবে তুমি শৈশবের বসন্ত গেল। তুমি ছিলেনা একমুঠো যবের আটায় তোমার মুখ এঁকেছি প্রতিদিন কথা দিয়েছিলে নতুন সূর্যের ফসল হয়ে আসবে। থাকবে আমার বামপাঁজরের নিচে দিনান্তে, তুমি এলে না কৈশোরের চঞ্চলতায় তোমাকে এঁকে নিয়েছি খাতায় কচুপাতায় জমা শিশিরের স্ফটিক ছবিতে দাঁড়িয়ে থেকেছি নিষ্পলক হলুদ বারান্দায় তুমি আসবে বলেছিলে তাই। তবুও তুমি এলেনা। কৈশোর চলে গেল ভুলে, গেল ভোরের বাতাস। সময়ের মত দূপুরের তাতে ঘেমেছি,পুড়েছি সেও অনেককাল হল তবু তুমি এলেনা তুমি কি এখনও বন্দি বাস্তিলের দুর্ভেদ্য কুঠরিতে পলাশীর মাঠ হয়ে রাইটার্সের বারান্দায় স্বপ্ন দেখেছি, লাল সালুকে ভেসে আসবে আমার ছোট্ট কুঠিতে এক চিলতে রোদ্দুর হয়ে তবুও তুমি এলেনা বুঝেছি, তোমার অভিমান আমি ঘুমিয়ে আছি, বিভেদের বেড়াজাল ও ইচ্ছাশক্তির ডানায় ঘুণ নিয়ে, ভুলে গেছি বসন্তের হাওয়ায় আর মৌমাছির ডানায় ভাসে ফসলে
আঁধারের মেওয়া আলী হোসেন আগুনের কি ক্ষমতা থাকে বারুদের আস্ফালন রুখে দেওয়ার? জল প্লাবনকে আটকাবে যদি, তার খিদের কী হবে? এতসব প্রশ্নের কোন মানে হয় না শুধু দেখে যাও আমরা মাথা উচু করে হাঁটছি প্লাবন ঠেলে, জগৎ সভায় ডিঙোচ্ছি এক একটা মাইল ফলক। হোক না তা বারুদ আর বর্বরতার সাঁকোয় চড়ে! বলছি, আগুনকে ভালোবাসো, হোক না তা নৃশংসতার, এই ভেবে, সে অন্ধকারের শত্রু সহ্য করো তাকে সম্ব্রমের বিনিময়ে হলেও এই ভেবে, একদিন সে ভালোবাসার দাগ রেখে যাবে, হোক না, সে দাগের নাম গুজরাট, কিম্বা মনিপুরি কোন অচিন গাঁ নগ্নতার কোন মিছিলেই তো হবে আমাদের রাজাধিরাজের নতুন অভিষেক। এটাই তো রীতি, এটাই তো রেওয়াজ আমাদের। সবুরে মেওয়া ফলে, নগ্নতার আর আঁধারের মেওয়া, সেটাই তো খেয়ে যাই আমরা তারিয়ে তারিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরবতায়, চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, ভেবে। -------xx------ 👉 ফেসবুকে পড়ুন এখানে ক্লিক করে